নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো রাজ্যে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সেনাসদস্যও রয়েছেন। শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতভর এই হামলা চালানো হয়।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্তের দারুল জামাল গ্রামে এই হামলা ঘটে। কয়েক বছর ধরে বাস্তুচ্যুত থাকার পর এই গ্রামটিতেই বাসিন্দারা সম্প্রতি ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় তাদের জীবন আবারও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।
রয়টার্স-এর খবর অনুযায়ী, হামলাকারীরা গ্রামটির অন্তত ২০টি বাড়ি এবং ১০টি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন চালক ও শ্রমিকও রয়েছেন, যারা গ্রামটির পুনর্গঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন।
নাইজেরিয়ার বিমান বাহিনী পাল্টা অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বোর্নোর গভর্নর বাবাগানা জুলুম। তিনি বলেন, নিরাপত্তা জোরদারের জন্য ‘ফরেস্ট গার্ডস’ নামে নতুন বাহিনী গঠন করা হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে বোর্নো রাজ্য বোকো হারামের বিদ্রোহের কেন্দ্রস্থল। এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০১৫ সালে বোকো হারাম দুর্বল হয়ে পড়লেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা আবারও শক্তি সঞ্চয় করছে। ২০১৪ সালে চিবোক শহর থেকে ২৭০ জনেরও বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণের ঘটনার পর বোকো হারাম আন্তর্জাতিকভাবে কুখ্যাত হয়ে ওঠে।