জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক হুমকি জাল

উপকূলীয় জেলেদের রোজগারের স্বপ্ন ধ্বংস করছে চায়না দুয়ারি, বুচনা ও আটন নামের তিন ধরনের অবৈধ জালের মারাত্মক বিস্তার। এই জালগুলো প্রতিদিন কোটি কোটি মাছের পোনা ধ্বংস করছে, যার ফলে কেবল মাছই নয়, সমুদ্রের ভবিষ্যৎ এবং দেশের সম্ভাবনাময় অর্থনীতিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

একসময় খাল-বিল ও জলাশয়ে পুঁটি, টেংরা, চিংড়ি, কই, শিং, মাগুরের মতো শত শত দেশীয় মাছ পাওয়া যেত, যা খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খাল-বিল ও ছোট জলাশয়ে স্থানীয়রা অবাধে এসব অবৈধ জাল ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মাছের প্রজননের সময় এই জালের ব্যবহার আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় জেলেদের মতে, সহজে মাছ ধরা যায় এবং দাম কম হওয়ায় অধিকাংশ জেলে ও মৌসুমি শিকারি এই জাল ব্যবহার করছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশের ৩০টিরও বেশি দেশীয় মাছের প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এর মূল কারণ এই অবৈধ জাল। ২০১৫ সালের মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালায় ৪.৫ সেন্টিমিটারের কম ফাঁসযুক্ত জাল নিষিদ্ধ হলেও, বুচনা জালের ফাঁস তার চেয়েও ১০ গুণ ছোট এবং বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও দেখুন

সাংবাদিক বনাম সরকারি কর্মকর্তা: ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

পঞ্চগড়ে মহালয়ার সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসনের সহকারী …