যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল রাজনীতিক ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ককে হত্যার দায়ে ২২ বছরের এক তরুণ, যার নাম টাইলার রবিনসন, তাকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর স্পেনসার কক্স এক সংবাদ সম্মেলনে এই আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রবিনসনকে ইউটাহর ওয়াশিংটন কাউন্টি থেকে তার পরিবারের সহায়তায় আটক করা হয়েছে। তিনি ডিক্সি টেকনিক্যাল কলেজের একজন শিক্ষার্থী ছিলেন এবং আগে ইউটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটিতেও পড়াশোনা করেছিলেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন চার্লি কার্ক। তদন্তে জানা গেছে, রবিনসন প্রায় ২০০ গজ দূরের একটি ভবনের ছাদ থেকে বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল দিয়ে গুলি চালান।
হত্যার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিনসন তার পরিবারকে বলেছিলেন যে তিনি কার্ককে অপছন্দ করেন, কারণ তিনি মনে করতেন কার্ক ‘ঘৃণা ছড়ান’। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা কার্তুজগুলোতে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান এবং অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির প্রতীকও পাওয়া গেছে।
চার্লি কার্ক ছিলেন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে রক্ষণশীল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। জাতিগত, লিঙ্গগত ও অস্ত্র মালিকানা বিষয়ে তার কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি রাজনৈতিকভাবে সমালোচিতও ছিলেন।